বাংলাদেশ এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্ট ফেডারেশন – (বি এ এস এফ) এর লক্ষ্য, নীতিমালা ও সংবিধান

Goals, Policies and Constitution of Bangladesh Anarko-Syndicalist Federation – (BASF)

বাংলাদেশ এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্ট ফেডারেশন – (বি এ এস এফ) এর লক্ষ্য, নীতিমালা ও সংবিধান

বাংলাদেশ এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্ট ফেডারেশন- (বি, এ, এস, এফ) কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিস্টার আন্দোলন, ইহা এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজমের আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এর লক্ষ্য হলো এমন একটি সমাজ বিনির্মান করা যেখানে স্বাধীনতা, যৌথতা, জোটবদ্বতা এবং স্ব-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। ২০১৪ সালের ১ লা মে বি, এ, এস, এফ এর যাত্রা শুরু।

বাংলাদেশ এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্ট ফেডারেশন – (বি এ এস এফ) এর লক্ষ্য, নীতিমালা ও সংবিধান

বাংলাদেশ এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজম ফেডারেশন- (বি, এ, এস, এফ) কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিস্টার আন্দোলন, ইহা এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজমের আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এর লক্ষ্য হলো এমন একটি সমাজ বিনির্মান করা যেখানে স্বাধীনতা, যৌথতা, জোটবদ্বতা এবং স্ব-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।

২০১৪ সালের ১ লা মে বি, এ, এস, এফ এর যাত্রা শুরু।

আমরা বিশ্বাস করি, যারা কাজে লোক নিয়োগ করেন আর যারা নিয়োগ পায় তাঁরা কোনভাবেই এক শ্রেনী নয়। এই দুই শ্রেনীর মধ্যে সুদির্ঘ কাল ধরে লড়াই বা দ্বন্দ্ব চলছে, এবং তা ততদিন পর্যন্ত চলবে যতদিন দুনিয়ার শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যব্দ হয়ে দুনিয়ার উৎপাদন ব্যবস্থার উপর মালিকানা কায়েম করে মজুরী দাসত্বের অবসান না ঘটাবে।

আমরা এখন সক্রিয় ভাবে শ্রমিক শ্রেনীর লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহন করে তাঁদের কর্ম সময় কমানো, মজুরী বৃদ্বি, এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করার জন্য কাজ করছি। আমরা শ্রমজীবী মানুষের বিরুদ্বে পরিচালিত সকল প্রকার ষড়যন্ত্র, ধর্মঘটে ভাঙ্গন, উৎপাদন বৃদ্বির নামে অতিরিক্ত কাজ করানো, মজুরী কেটে নেয়া বা বেকারত্বের বিরুদ্বে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।

আমরা চাই শ্রমজীবী/সামাজিক লোকেরা স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উৎপাদনে স্ব-ব্যবস্থাপক হয়ে উঠোক, সম্পদের যথাযথ ভাবে বিতরন, সামাজিক সংগঠন, পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়ে উঠবে। ফলে শ্রমজীবী/সামাজিক মানুষের নিজেদের উদ্যোগে সম্পদ উৎপাদনের জন্য একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

আমরা সকল প্রকার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক একচটিয়াবাদের বিরুদ্বে। আমরা কোন প্রকার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য কাজ করছি না। বরং আমরা সকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিলয় চাই, যা সমাজকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তাই আমরা সকল সংসদীয় কর্মকান্ডের এবং অন্যান্য আইনী কমিটির বিরুধীতা করি। আমরা বিশ্বাস করি সমাজে ও কর্মক্ষেত্রের ভেতরে ও দ্বন্দ্ব চলবে। সেই দ্বন্দ্ব চলবে স্বাধীনতার জন্য এবং রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্বে।

আমাদের লড়াইয়ের মাধ্যমই হলো শিক্ষা এবং সরাসরি কাজ করা। প্রচলিত লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সমাজ পরিচালনার ও ব্যবস্থাপনার পাঠ নিতে হবে। আমরা কোন ভাবেই সংগঠনের কেন্দ্রীকতা মানিনা । আমরা আমাদের ফেডারেশনকে এমন ভাবে গড়তে চাই যেখানে উদারতা বিদ্যমান থাকবে, নিচু থেকে উঁচু স্তরের দিকে উদ্যোগ গ্রহনে কোন প্রকার পদসোপান বা হাইরার্কির স্থান থাকবে না, স্থানীয় ও আঞ্চলিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল সমূহের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সমন্বয়কারী সকল কমিটির প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে রিকল বা ফেরত নেবার ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেকের জন্য সুনির্দিস্ট কার্যক্রম নির্ধারন করবে স্থানীয় কমিটি সমূহ।

আমরা দুনিয়াকে দেখি আমাদের দেশ, মানবজাতিকে দেখি আমাদের পরিবার হিসাবে। আমরা সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মের ও জাতীয় সীমানার বিরুধীতা করি, এবং সকল সরকারে অবাধ সহিংসতা ও সন্ত্রসী কর্মের উন্মোচন করতে চাই।

যে সকল আচার আচরন, বিশ্বাস এবং অনুমান শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতিতে ফাটল ধরায় তা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সকল আদর্শ বা প্রতিস্টান থেকে দূরে থাকতে হবে যা মানুষের সমতা, অধিকার, ও ন্যায়পরতার পথে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে। এবং নিজেদের জীবন নিজেরা নিয়ন্ত্রন করার পরিবেশকে বাধাগ্রস্থ করে ।

সংবিধিঃ

১। নামঃ এই সংস্থাটি বাংলাদেশ এনার্কো- সিন্ডিক্যালিস্ট ফেডারেশন – (বিএএসএফ) নামে পরিচিত হবে।
২। এই সংস্থার সাধারন নীতি মালাঃ
১। বি এ এস এফ- অনুমোদিত সমিতি/ক্লাব/সংস্থা সমূহের ফেডারেশ হিসাবে কাজ করবে ।
২। প্রতিটি অনুমোদিত সংগঠন নিজেদের পছন্দমত নাম ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিটি সংগঠনকে একটি ধারাবাহিক নাম্বার দেয়া হবে। তবে একটি নাম্বার দুই বার ব্যবহার করা হবে না ।
৩। প্রতিটি অনুমোদিত সংগঠন তাঁদের নামে স্থানীয় ও জাতীয় পর্য্যায়ে এবং কর্মস্থলে তাঁদের স্বীয় ইচ্ছেমত কর্ম সূচি গ্রহন ও পালন করতে পারবেন।
৪। প্রতিটি সংগঠন তাঁদের প্রয়োজোনীয় সকল ক্ষেত্রেই নিজেদের মধ্যে মুক্ত আলোচনা করে সিদ্বান্ত গ্রহন করার অধিকারী হবেন।
৫। কোন সংগঠনেই কেহ এককভাবে নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না। সকল প্রতিনিধিই নির্বাচিত হবেন। তা অবশ্যই রিকল যোগ্য এবং সময় কাল মাত্র এক বছর।

৩। সাংগঠনিক কাঠামোঃ

ক) সাধারন সদস্যপদ

১। বি এ এস এফ এ সকল কর্মজীবি মানুষের জন্য উন্মোক্ত থাকবে। চাকুরীরত হোক বা বেকার ।
২। নিম্নের কেহই বি এ এস এফ এর সদস্য পদ গ্রহন করতে পারবেন নাঃ
ক) কোন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলীয় ব্যাক্তি, ট্রেড ইউনিয়নের বেতন প্রাপ্ত অফিসার বা কোন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা।
খ) যারা এমন কোন পদে আছেন যিনি নিয়োগ দান ও চাকুরীচ্যুত করতে পারেন ।
৩। বি এ এস এফ এর আদর্শের ভিত্তিতে চুক্তিবদ্ব সংগঠন সমূহের সাথে ঐক্যমত হলে নির্ধারিত ফি প্রদান করে সংগঠন ভুক্ত হতে পারবেন।
৪। সকল সদস্যদের সকল ক্ষেত্রেই সমান অধিকার বহাল থাকবে।

ক) স্থানীয় ও শিল্প এলাকার অনুমোদন

১। প্রতিজন সদস্যই সাধারন সদস্য হিসাবে তাঁদের স্থানীয় সংঠনের সদস্য পদ গ্রহন করবেন। কোন ভাবেই একজন সদস্য একাধিক সংঠনের সদস্যপদের অধিকারী হতে পারবেন না ।
২। সকল প্রকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত শর্ত সমূহ পালন করা বাধ্যতা মূলকঃ
ক) প্রতিটি সভায় হাজির হতে হবে। মাসে কমপক্ষে একবার।
খ) একজন সম্পাদক ও একজন অর্থ-সম্পাদক থাকবেন।
গ) চিঠির ঠিকানা, ইমেইল ও ফোন নম্বর সংরক্ষন করা হবে।

ঘ) ফেডারেশনে নিয়মিত ভাবে বার্ষিক চাঁদা জমা দিবেন।

১। যখন কোন নয়া সংঠনকে অনুমোদন দিতে হবে তখন অন্যান্য অনুমোদিত সংগঠন সমূহের কংগ্রেসে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
২। কোন সংগঠনকে অনুমোদন করতে হলে কমপক্ষে তিনজন সদস্য থাকতে হবে।
৩। সকল অনুমোদিত সংগঠন সমূহ সর্বাত্মক সহযোগিতা পাবে।
৪। নতুন কোন সংগঠন অনুমোদিত হলে আভ্যন্তরীণ ভাবে সকলকে তা অবহিত করা হবে।

ক) স্থানীয় ও শিল্পাঞ্চলের উদ্যোগ

১। কোন শিল্পাঞ্চল বা স্থানীয় পর্যায়ে ১/২ জন ব্যাক্তি ও অনুমোদনের জন্য উৎসাহ দেখাতে পারেন। তাদেরকে ও স্বাগত জানানো হবে।
২) ব্যাক্তি বা সংঠনের নামে হলে তাঁদের তালিকা আলাদা ভাবে সংরক্ষিত হবে।
৩। তাঁদের উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করে এগিয়ে নেয়ার চেস্টা থাকবে।

ক) আঞ্চলিক এবং শিল্পাঞ্চলের জন্য ফেডারেশন

১। উপযোগী শিল্পাঞ্চলে আলাদা ফেডারেশন গঠন করে তাদেরকে অনুমোদন দেয়া যাবে।
২। আঞ্চলিক ফেডারেশন তাঁদের সুবিধামত সভার সময়, কার্যক্রম, আর্থিক বিষয় সহ যাবতীয় বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহনের অধিকারী হবে।

সাংগঠনিক কাঠামো ও অবস্থানঃ

ক) বি এ এস এফ এর দপ্তরঃ-

১। প্রতিটি কংগ্রেসে একজন করে বি এ এস এফ সম্পাদক বা দায়িত্বশীল ব্যাক্তি নির্বাচন করা হবে। তাঁর মেয়াদ হলো পরবর্তী কংগ্রেস পর্যন্ত।
২। সম্পাদক কে যে কোন সময়ে বিশেষ কংগ্রেস ডেকে রিকল বা ফেরত নেয়া যাবে। যদি তিনি ফেডারেশনের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য বিরুধী কাজ করেন বা কর্মে অবহেলা প্রদর্শন করেন তাবেই তাঁর বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
৩। ফেডারেশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত সম্পদক যদি কোন কারনে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে পড়েন তবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার জন্য অন্য একজনকে নির্বাচন করা যাবে।

৪। ফেডারেশনের সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নে বর্নিত হলঃ

ক। ফেডারেশনের আর্থিক দায় দায়িত্ব তাঁর উপরই বর্তাবে। তিনি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরী ও প্রকাশ করবেন।
খ) সকল অনুমোদিত সংগঠনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
গ) তিনি স্থানীয়, আঞ্চলিক, ও আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহের সাথে ফেডারেশনের বন্দ্বুত্বপূর্ন সম্পর্ক রক্ষা করবেন।
ঘ) নিয়মিত ভাবে অনুমোদন কারী সংস্থায় প্রতিবেদন জমা দিবেন । ( এ এস এফ / আই ডব্লিও এ ইত্যাদি)
ঙ) বি এ এস এফ পেইজ/উয়েভ সাইট /গ্রুপ হালনাগাদ রাখা হবে

ক) অনুমোদিত সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদক

১। প্রতিটি অনুমোদিত স্থানীয় সংগঠনে প্রতি বছর সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক নির্বাচন করবে, তাঁরা এক সময় মাত্র একবারই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
২। সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদককে অবশ্যই নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ কারী হতে হবে। তবে তা নতুন সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
৩। সম্পাদক ও অর্থ সমাদক উভয়কে একেই সাথে প্রয়োজন হলে রিকল করা যাবে। তবে তাঁদের দায়িত্বে অবহেলা ও সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও চুক্তি ভঙ্গের প্রমান করতে হবে ।

৪। সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ

ক) তথ্য সংগ্রহ করা, তথ্য সাজানো ও ফাইলিং করে সংরক্ষন করা । প্রাপ্ত চিঠি পত্রের উত্তর ও ই মেইলের জবাব দান করা এবং চাহিদা মত ব্যবস্থা গ্রহন করা ।
খ) অনুস্টিত সভা সমূহের কার্যবিবরনী যথা যথ ভাবে সংরক্ষন করা ।

অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহঃ

ক) চাঁদা আদায় করা
খ) ফেডারেশনের দপ্তরে ফেরন করা
গ) মাসিক সভায় অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন
ঘ) যারা চাঁদা জমা করেনাই তাদেরকে অবহিত করন

ক) বিশেষ গ্রুপ সমূহঃ

১। ৩ বা ততধিক ফেডারেশনের সদস্য কোন বিশেষ এলাকায় বিশেষ উদ্দেশ্যে কাজ করতে আলাদা গ্রুপ করতে পারবেন। তাঁরা একেই সংগঠনের সদস্য না হলে ও চলবে।
২। বিশেষ গ্রুপ সমূহ কোন ভাবেই এনার্ক-সিন্ডিক্যালিজমের আদর্শের বাহিরে কিছু করবে না ।
৩। বিশেষ গ্রুপ সমূহ ফেডারেশনের নাম ধারন করবে। এবং কার্যক্রম সম্পর্কে সময়ে সময়ে প্রতিবেদন জমা দিবেন।
৪। বিশেষ গ্রুপ গঠনের ক্ষেত্রে ও সংশ্লিষ্ট সংগঠন একমত হতে হবে। তাঁরা না চাইলে গ্রুপ গঠন করা হবে না ।
৫। প্রতিটি বিশেষ গ্রুপে একজন করে সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
৬। যে সকল ফেদারেশন সদস্যের বিদ্রোহী হবার সম্ভাবনা নেই এমন সদস্যদেরকে নিয়েই বিশেষ গ্রুপ তৈরী করা হবে।

অর্থ ব্যবস্থাপনাঃ

১। সকল ফেদারেশন সদস্য মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা প্রাদান করবেন। যারা বেকার বা কম বেতন পান তাঁদের জন্য স্বল্প মাত্রায় চাঁদা নির্ধারিত করতে হবে । তা প্রতি কংগ্রেসে নির্ধারন করা হবে।
২। কোন বিশেষ কারন থাকলে তার নিকট থেকে চাঁদা না ও নেয়া যেতে পারে।
৩। যাদের নিয়মিত চাঁদা আদায় হয় কেবল তারাই ফেডারেশন সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। চাদা পরিশোধ না করা হলে ভোটাধিকার থাকবে না ।
৪। প্রতিটি কংগ্রেসে খাত ওয়ারী বরাদ্ব দিয়ে বাজেট প্রনয়ন করা হবে। এতে আয় ব্যায়ের পরিকল্পনা দেয়া থাকবে। ফেডারেশন এই সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব পালন করব।

প্রকাশনা ও বিক্রয়ঃ

১) ফেডারেশনের একটি ওয়েবসাইট থাকবে। ফেডারেশনের সচিবালয় তা পরিচালনা করবে।
২) নিবন্দ্বিত সকল গ্রুপ তাঁদের নিজস্ব নামে পত্র/পত্রিকা, পুস্তক, পুস্তিকা প্রকাশ করতে পারবে।
৩) ফেডারেশন নিজস্ব প্যাড ও সিল ব্যবহার করবে।
৪) সকল প্রকাশনায় প্রকাশকের নাম পরিস্কার ভাষায় লিখা থাকবে।

সিদ্বান্ত গ্রহন প্রক্রিয়াঃ

ক) স্থানীয়ঃ

১) প্রতিটি সংগঠন নিজের নামে নিজস্ব পদ্বতীতে নিজেদের পছন্দমত সিদ্বান্ত গ্রহন করতে পারবেন। ইহা সংগঠনের চুক্তির ২ নং ধারায় বর্নিত আছে।

খ) কংগ্রেসঃ

১) কংগ্রেসে আবেদন কারীদের নিবন্দ্বনের বিষয়ে অনুমোদন প্রদান করা হবে; সচিবালয় নির্ধারিত হবে, চাঁদার হার নির্ধারন করা হবে, কি কি প্রকাশনা করা হবে তা ঠিক করা হবে, ফেদারেশন এবং সংগঠন সমূহের চুক্তির কোন শর্ত দরকার হলে সংশোধন করা হবে।
২) কংগ্রেসের তিন মাস আগে আলোচ্য বিষয় বা ইস্যু সমূহ প্রস্তাব করতে হবে। দেরীতে দেয়া প্রস্তাব সমূহ সময় থাকলে বিবেচনা করা হবে।
৩) কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবার ৬ মাস আগে কংগ্রেসের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র অংশগ্রহণকারীদের নিকট প্রেরন করতে হবে।
৪) একটি নির্বাচন কারী কমিটি কারা কারা কংগ্রেসের ডেলিগেট হবেন তা নির্ধারন করে দিবেন। এবং ফেডারেশনের সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক লিখিত ভাবে তাদেরকে জানাবেন। ডেলিগেটদের মধ্যে পূর্ন সদস্য ও পর্যবেক্ষক সদস্য থাকতে পারেন।
৫) কংগ্রেস আসলে সকল সদস্যদের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে। কেবল কারা বক্তব্য রাখতে পারবেন তা পূর্বে নির্ধারন করা হবে।
৬) কংগ্রেসে কেবল যে সকল বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়েই আলোচনা হবে। তবে যদি কোন বিষয় অতিব গুরুত্ব পূর্ন বিবেচিত হয় তবে তা অগ্রাধিকার পেতে পারে।
৭) কংগ্রেস অত্যন্ত সচেতন ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্বান্ত গ্রহন করবেন। যদি কোন বিষয়ে ঐক্যমত না হয় তবে তিন সদস্যের একটি রেজুলেশন গ্রুপ গঠন করা হবে। সেই গ্রুপ বিষয়টির নানা দিক বিশ্লেষণ করবেন এবং পুনরায় কংগ্রেসে উত্থাপন করবেন।
৮) যদি বিষয়টি সিন্থিসিস করার পর ও ঐক্যমত না হয়ে তবে সাধারন ভাবে একজনের এক ভোট ভিত্তিতে ভোটে দিতে হবে। এবং সংখ্যা গরিস্টের ভোটে সিদ্বান্ত গ্রহন করা হবে ।
৯) প্রতিটি কংগ্রেস পরবর্তী কংগ্রেসের তারিখ নির্ধারন করবেন।
১০) কংগ্রেসের পুর্নাংগ প্রতিবেদন প্রনয়ন করে সকল নিবন্দ্বিত ফেডারেশনে প্রেরন করতে হবে ।
১১) সকল প্রকার সিদ্বান্ত নির্ধারিত সভায় সংশোধন করা যাবে। তবে তা সংশোধনের জন্য যথাযত পদ্বতী অনুসরন করতে হবে।
ক) বিশেষ কংগ্রেসঃ
১) সিদ্বানের কারনে যদি জটিলতার সৃষ্টি হয় তবে একটি বিশেষ কংগ্রেস অনুস্টিত হতে পারে।
২। কম পক্ষে দুটি নিবন্দ্বিত সংগঠন অনুরুধ না করলে কোন কংগ্রেস অনুস্টান করা যাবে না ।
৩) কোন কংগ্রেস অনুস্টানের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল সংশ্লিষ্ট সদস্য অবহিত করতে হবে। যেন তাঁরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতী নিতে পারেন।
৪) বিশেষ কংগ্রেসের সিদ্বান্ত গ্রহন প্রক্রিয়া ও সাধারন কংগ্রেসের নিয়ম অনুসারেই গ্রহন করা হবে।

ক) কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবার মাঝখানে সিদ্বান্ত গ্রহন পদ্বতি

১) যদি দুটি কংগ্রেসের মাঝখানে কোন জরুরী সিদ্বান্ত গ্রহন করতে হয় তবে নিম্নের পদ্বতী অনুসরন করতে হবেঃ
ক) যদি ফেডারেশনের সচিবালয়ে কোন নিবন্দ্বিত সংগঠন কোন প্রস্তাব পাঠায়।
খ) ফেডারেশন যদি কোন বিষেশ বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায়।
গ) নিবন্দ্বিত সংগঠন অবশ্যই পত্র প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে উত্তর দিবেন।
ঘ) প্রস্তাব কেবল তখনই গ্রহন করা হবে যখন সকল নিবন্দ্বিত সদস্য তা অনুমোদন করবেন।

কনফারেন্স

১) কনফারেন্স হল সেই অনুস্টান যেখান কোন সিদ্বান্ত গ্রহন করা হবে না । বরং বিশেষ কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
২) কনফারেন্সে সকল সদস্যই উপস্থিত থাকিতে পারেন। নির্ধারিত অথিতি ও উপস্থিত থাকতে পারবেন।
৩) কনফারেন্সে রেজুলেশন গ্রহন করা যেতে পারে। যা কংগ্রেসের প্রতি সুপারিশ আকারে পেশ করা যেতে পারে।
৪) কনফারেন্স পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তার সময়, বিষয় ও অন্যান্য বিষয়দি নির্ধারিত হইবে।

শৃংখলা এবং ব্যাতিক্রম সমূহঃ

নিবন্দ্বিত সংগঠন সমূহ তাঁদের সদস্যদেরকে নিম্ন লিখিত ক্ষেত্রে শৃংখলা বজায় রাখবেনঃ
১) কেহ ফেডারেশনের আদর্শ উদ্দেশ্যের সাথে ঐক্যমত না হলে বা এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজমের বিপরীত কর্ম করলে তাঁকে বাদ দিতে হবে।
২) কাউকে বাদ দিলে তা সংঠনের সভায় কার্য বিবরণীতে উল্লেখ করতে হবে।
৩) কোন সদস্যকে বাদ দিলে ৩০ দিনের মধ্যে কারন সহ নির্ধারিত সভায় অবহিত করতে হবে।
৪) কেহ ক্রমাগত ১২ মাস চাঁদা না দিলে তার সদস্য পদ বাতিল করা যাবে।
৫) কোন ফেডারেশনকে ও তাঁদের নিবন্দ্বন বাতিল করা যেতে পারে। যদি তাঁরা সাংগঠনিক চুক্তি ভঙ্গ করে।
৬) কোন নিবন্দ্বিত বাতিল কৃত ফেডারেশনের সকল সদস্যকে অন্য নিবন্দ্বিত ফেডারেশনের নিকট স্থানান্তর করা যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ

১) বি এ এস এফ সমআদর্শে বিশ্বাসী সংগঠন ও ফেডারেশনের সদস্য পদ গ্রহন করতে পারবে। ( যেমন- আন্তর্জাতিক শ্রমিক এ্যাসোসিয়েশন- আই, ডব্লিউ এ ইত্যাদি)
২) বি এ এস এফ বাংলাদেশ ও বিশ্বের যে কোন উদারতাবাদি সংগঠনের সাথে বন্দ্বুত্বপূর্ন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।
৩) বি এ এস এফ এমন কোন সংঠনের সাথে সম্পর্ক রাখবে না যারা এ এস এফ/আই ডব্লিউ এ র সাথে বিরোধ পূর্ন অবস্থায় আছে।
৪) বি এ এস এফ ইংরেজী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এনার্কো-সিডিক্যালিজম বিষয়ক বই পুস্তক অনুবাদ করে সকল সদস্য ও পাঠকদের নিকট প্রকাশের জন্য স্থানীয় ও নিবন্দ্বনকারী সংস্থার নিকট থেকে সহায়তা নিবে ।

Laisser un commentaire